দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না। যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব তখনই প্রকৃত অগ্রগতি সম্ভব।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাপন, ভোগ, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত তাদের এবং পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পেশা, উদ্ভাবন ও নীতি পৃথিবীকে হয় সুস্থ করতে পারে, নয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে তাই ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দায়িত্ববোধ, সততা ও টেকসই চিন্তাধারাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সর্বদা সুস্থতার পথকেই বেছে নিতে হবে।
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজ তোমরা সাফল্যের প্রতীক হিসেবে গাউন ও ক্যাপ পরেছো, কাল দায়িত্বের প্রতীক পরবে। সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে চলো, মানুষের, দেশের ও পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ব কখনো ভুলে যেও না।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দা মাদিহা মুরশেদ, প্রধান বক্তা ছিলেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মানজুর, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম প্রমুখ। সমাবর্তনে নবীন গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ডিগ্রি, স্বর্ণপদক ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাওরের উন্নয়ন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বনবিভাগকে সহায়তায় স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা