কারও পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ব্যক্তিপর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, গত বছরের শেষদিকে খলিলের উদ্যোগে দেশের বাজারে কমতে শুরু করে গরুর মাংসের দাম। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন এক মাসের জন্য ৬৫০ টাকা দাম বেঁধে দেয়ার পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম।
ভোক্তার ডিজি বলেন, রমজানের পর খলিল-নয়নদের দোকানে উপচেপড়া ভিড় ছিল। মাংস কিনতে ঢাকার বাইরে থেকে মানুষ এসেছে তাদের দোকানে। সেখানে পুলিশ পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছিল। এর আগে খলিলকে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল। রাজশাহীতে কম দামে মাংস বিক্রি করায় একজনকে খুন করা হয়েছিল।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে খলিল জানান, আমি এখন থেকে সকাল ৭টায় দোকান খুলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করব। আগামী ২০ রমজান (৩১ মার্চ) পর্যন্ত প্রতিদিন ২০টা করে গরু বিক্রি করা হবে। আগে প্রতিদিন ৪০টি বিক্রি করলেও, এখন আর সেটি সম্ভব নয়। এই সময়ে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, আমি কথা দিয়েছিলাম রমজানে এই দামে মাংস বিক্রি করব। কিন্তু গরুর দাম বেশি পড়ায় আমিও মাংসের দাম বাড়িয়েছিলাম। তাতে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে।
উজ্জ্বল নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, রমজানে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এখন গরুর দাম বেশি পড়ছে। তাই কেজিতে ৩৫ টাকা বাড়াতে হয়েছে। রমজানের বাকি দিনগুলোয় ৬৩০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করব।
অপর ব্যবসায়ী নয়ন আহমেদ বলেন, আমি হাড়যুক্ত মাংস ৫৭০ টাকা কেজিতে এবং শুধু মাংস ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। কিন্তু গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় এই দামের মধ্যে মাংস বিক্রি করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে। তারপরও রমজানে এই দামেই বিক্রি করব।
