রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাউন্টারভিত্তিক বাস চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ঢাকার কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির চালকরা গাড়ি বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন রুটে বাস মিলছে না। একই চিত্র ছিলো গত দু’দিন।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, তুরাগ, অনাবিল ও এয়ারপোর্ট পরিবহনের চালকরা কাউন্টারভিত্তিক বাস চালাতে চাইছেন না, সে কারণে এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তাদেরকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, দুয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি ‘ঠিক হয়ে যাবে।
“বাড্ডা-রামপুরা হয়ে যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া বা ওইদিকে যেতে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এই রুটে ইকবাল বলে আরো একটা এসি কাউন্টার সার্ভিস আছে, কিন্তু সেটা সকাল ১০টার আগে কাউন্টার খোলে না।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম বলেন, কয়েকটি পরিবহনের চালকরা কাউন্টারে বাস চালাতে চাচ্ছেন না। এতে কয়েকটি সড়কে বাস কম চলছে। শুরুতে আপত্তি জানালেও ইকবাল, বলাকা পরিবহনের বাস চলাচল শুরু হয়েছে। চুক্তিতে গাড়ি চালিয়ে বেশি লাভ করত এমন চালকরা এই বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।
তিনি আরও, বলাকার গাড়ি চলছে। রাইদার কিছু গাড়িও চলা শুরু করেছে। চালকদের মধ্যে দুইটা গ্রুপ আছে তাদের ডেকেছি ওটা ঠিক করে দিব আজকে। মালিকদের পরে প্রেশার দেওয়া হইছে যেন কাউন্টারে চালায়। এটা ঠিক হতে আরও দুয়েকটা দিন লাগবে।
সাইফুল আলম বলেন, পয়সাকড়ি অন্যায়ভাবে ইনকাম করে যদি অভ্যাস হয়ে যায়, তখন সেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন। তারা এখন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গাড়ি চালাত, মালিককে ২০০০ টাকা জমা দেয়। তারা ইনকাম করত ৫-৬ হাজার টাকা। এখন ন্যায্য বেতন নিলে হয়ত ২ হাজার পাবে। এই একটা বিষয় আছে। আমরা তাদের বোঝাচ্ছি, লাগলে বেতন আরও বাড়িয়ে দেব। পাশাপাশি তাদেরকে ইন্ধনও দিচ্ছে কেউ কেউ।
