নতুন মা-বাবার ঘরে বাথরুমে পাওয়া সেই নবজাতক

আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০০ এএম

মাদারীপুরে ক্লিনিকের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক খুঁজে পেলো নতুন ঠিকানা। ঠাঁই হয়েছে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর ঘরে। ৩৫টি আবেদন যাছাইবাছাই শেষে সাড়ে তিন লাখ টাকা বন্ডে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে নেয়া হয় শিশুকে। 

খুশি দত্তক নেয়া বাবা-মা। আদালতের সিদ্ধান্তে দুই মাস পর পর শিশুটির শারিরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে সমাজসেবা অধিদফতর।

জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের লেকের দক্ষিণপাড়ের বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাথী বেগম বাথরুমের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় এক নবজাতককে দেখতে পায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। 

থানায় সাধারণ ডায়েরি করে সমাজসেবা অধিদফতর। এরই প্রেক্ষিতে শিশুটিকে দত্তক নিতে ভীড় করেন অনেকেই। নবজাতককে দত্তক নিতে মাদারীপুর শিশু আদালতে আবেদন পড়ে একে একে ৩৫টি। সোমবার দিনব্যাপী চলে শুনানি। 
পরে যাছাইবাছাই শেষে সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাদিম আকন ও সাদিয়া আক্তার দম্পতিকে দত্তক নেয়ার সিদ্ধান নেন আদালতের বিচারক রিফাত মোল্লা। সাড়ে তিন লাখ টাকা বন্ডসহ ৫ শর্তে দেয়া হয় তাদের। পরে মঙ্গলবার বিকেলে নতুন মা-বাবার হাতে তুলে দেয়া হয় শিশুটিকে। শহরের পাঠকাকান্দি এলাকায় বসবাস সাদিয়া আক্তার ও নাদিম আকন দম্পতির। নবজাতককে দত্তক নিতে পেরে খুশিতে আত্মহারা তারা।

শিশুকে দত্তক নেয়া সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাদিম আকন বলেন, ‘আমি শিশুটিকে দত্তক নেয়ার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে ছুটে এসেছি। আমি মেয়েটিকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো। কোথাও কোনো কমতি রাখবো না।’

সাদিয়া আক্তার বলেন, ‘এই শিশুটি এখন থেকে আমাদের সন্তান। মায়ের আদর দিয়ে ওকে মানুষ করবো। কোনো কষ্ট-দুঃখ হতে দিবো না। সুখে শান্তিতে আমাদের পরিবারে থাকবে সে।’

মাদারীপুর সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসার শেখ নাহিয়ান ওয়াহিদ জানান, ‘আদালত যোগ্য মনে করে এই দম্পতির কাছে শিশুটিকে দত্তক দিয়েছেন। শিশুটির খোঁজখবর নিয়ে দুই মাস পর পর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। সমাজসেবা অধিদফতর এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে।’

HN