সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মৃত্যুর দুইদিন পর বাংলাদেশী নাগরিক আহাদ মিয়া (৪০) লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউপি’র লাফার্জ সীমান্ত দিয়ে লাশটি হন্তান্তর করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের ঊর্ধ্বতনরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে।
নিহত আহাদ মিয়া উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের তেরাপুর গ্রামের আপ্তর আলীর ছেলে। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর সীমান্তের ভারতের মেঘালয়ের কালাটেক বস্তি এলাকা হতে আহাদ মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)
দোয়ারাবাজার থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘লাফার্জ সীমান্তে বিজিবি, বিএসএফ ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ আহাদ মিয়ার লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।‘
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়িক কাজে বের হন। পরবর্তীতে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
পরে ১৫ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির বরাতে জানতে পারেন ভারতের মেঘালয়ের কালাটেক বস্তি সীমান্ত এলাকায় একটি লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র সহযোগিতায় লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে বিজিবি। পরে ওইদিন বিকেলে লাশটি ভারতের চেলা পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলং টাউন সরকারি হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে বুধবার আহাদ মিয়ার লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহাদ মিয়া ছিলেন সীমান্তে গরু-মহিষের একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক লেনদেনজনিত কারণে আততায়ীর হাতে তিনি নিহত হতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
