ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হিমেল বাতাসে কাঁপছে ধোবাউড়া

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪২ পিএম

ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া। অগ্রহায়ণ মাসের শুরু থেকেই  হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে এ উপজেলায়। পাহাড়ের কোল ঘেঁষা হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে অনেকটা বেশি। তবে চলতি মৌসুমে পৌষের শেষের দিকে এসে গত কয়েক দিনে শীত যেন আরও চরম আকার ধারণ করেছে। এতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষজন।

দুপুরে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও বিকেল থেকে শুরু হয় কনকনে হিমেল বাতাস। রাত যত গভীর হয় তাপমাত্রা ততই কমতে থাকে। ভোরে কুয়াশার চাদরে আচ্ছন্ন থাকে চারপাশ।   

এমন পরিস্থিতিতে জুবুথুবু অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে শীতার্ত মানুষেরা। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা। এতে খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ বিপাকে। কেউ কেউ হাড় কাঁপানো এই শীতে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে কিছুটা শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

বেশ কয়েকজন খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘন কুয়াশায় রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম, কনকনে এই শীতে বোরো ধান চাষের জমি প্রস্তুতেও প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। তাই উপার্জন অনেকটায় কমে গেছে। তারা বলেন, প্রচণ্ড শীতে সকালে কাজ করা খুবই কঠিন। পানিতে নামলে শরীর যেনো বরফ হয়ে আসে।  

গরম কাপড় না থাকায় কষ্টে দিন পার করছে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। জানা গেছে, প্রতিবছর শীতার্ত মানুষের মাঝে সরকারি উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হলেও এবছর এখন পর্যন্ত কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। নেই কোন ব্যক্তি উদ্যোগও। সরকারি উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম সর্ম্পকে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেগম শাহীন জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। 

এদিকে বাজারের দোকানগুলোতে বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। পরিবারের সবার জন্য শীতের কাপড় কিনতে বাজারে ভিড় করছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

AH
আরও পড়ুন