জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে হয়েছে আট দিন হলেও এখনো ঝিনাইদহ শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ঝুলছে প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার। সেগুলোকে সরানো হয়নি। এতে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। সাথে সাথে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও প্রকৃতি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরের চারপাশে এখনও ঝুলছে শত শত পোস্টার। রশিতে টাঙানো অধিকাংশ পোস্টার পলিথিন দিয়ে লেমোনেটিং করা। এছাড়া এখনও অপসারণ করা হয়নি বঙ্গবন্ধু সড়কের পোস্টার। কোথাও কোথাও রশি ছিড়ে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা পোস্টারগুলো পরিবেশের ক্ষতি করছে। শুধু জেলা শহরই নয়। জেলার চারটি সংসদীয় আসনের ছয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতেও একই অবস্থা।
নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোস্টার অপসারণ করার নিয়ম থাকলেও কোনো প্রার্থী সেই আইন মানছেন না।
শহরের হামদহ এলাকার বাসিন্দা রানা মিয়া বলেন, নির্বাচন শেষ হয়েছে ৭ জানুয়ারি। কিন্তু এখনো ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা হয়নি। শহর জুড়ে হাজার হাজার পোস্টার ঝুলানো রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বা কোন প্রার্থী তাদের পোস্টার অপসারণ করেন নি। এতে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
ঝিনাইদহ জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটিন সদস্য সচিব সিনিয়র সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, লেমোনেটিং করা ব্যানার পোস্টার নদীতে গেলে নদী ভরাট হবে। আর ড্রেনে পড়লে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নষ্ট হবে। তাই দ্রুত এসব অপসারণ করে পুড়িয়ে ফেলার আহ্বান জানাচ্ছি।
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান বলেন, ঝিনাইদহের ৬টি পৌরসভায় কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। যেন তারা দ্রুত এসব ব্যানার পোস্টার অপসারণ করেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, আমরা ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সকল ব্যানার পোস্টার অপসারণ করে ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলব। কারণ এগুলো গ্রীণ ঝিনাইদহ গড়ার অন্যতম অন্তরায়।
