ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

লালমনিরহাটে দগ্ধ সন্তান সম্ভবা বাঁচতে চান

আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম

শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ লালমনিরহাটের অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা আক্তারের অবস্থার অবনতি হয়েছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। কল্পনার কন্ঠে এখন শুধুই বাঁচার আকুতি। গর্ভের সন্তানসহ কল্পনাকে বাঁচাতে সামর্থ্যবানদের সহযোগিতা চেয়েছে তার পরিবার। সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের দরিদ্র কৃষক আব্দুল করিমের মেয়ে ও একই উপজেলার কোদালখাতা গ্রামের কৃষি শ্রমিক রুবেল মিয়ার স্ত্রী কল্পনা সাহায্যের আশায় রয়েছেন।

জানা গেছে, দেড় বছর আগে রুবেল মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কল্পনার। পাঁচ মাস আগে কল্পনার গর্ভে সন্তান আসে। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে একটু উষ্ণতা পেতে গত ১২ জানুয়ারি আগুন জ্বালিয়ে পাশে বসেছিলেন কল্পনা। এসময় অসাবধানতায় তার পরনের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। এতে কল্পনার হাঁটুর নিচ থেকে গলা পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়।

পরে স্বামী রুবেল মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে স্ত্রীকে লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় কল্পনাকে। সেখানকার চিকিৎসকরা বলেন, কল্পনার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। লম্বা সময় ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তার চিকিৎসা না করলে গর্ভের সন্তানসহ তাকে বাঁচানো অসম্ভব। 

স্বামী রুবেল বলেন, ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা করাতে না পেরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিতে পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিৎসকরা। কিন্তু  টাকার অভাবে কল্পনা এখন তার বাবার বাড়ির বিছানায় শুয়ে পুড়ে যাওয়া ক্ষতের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

স্থানীয় মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, কল্পনা নিজেও বাঁচতে চায় এবং গর্ভের সন্তানকেও বাঁচাতে চায়। কিন্তু পরিবারের পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানরা সহায়তা করলে মা ও গর্ভের সন্তান দু'জনকেই বাঁচানোর চেষ্টা করা যেতো।

SN
আরও পড়ুন