নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছেলের ফেসবুকে লাইভ দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মফিজুর রহমানের বাড়িতে দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের কুরি পাড়ার শ্মশান রোডের বিএনপি নেতা দিপুর বাড়িতে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, মফিজুর রহমান উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। সম্প্রতি তাঁর বড় ছেলে দাউদ উর রহমানকে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিবের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। রোববার(১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে দাউদ উর রহমান ফেসবুক লাইভে এসে নাম না করে বিএনপির কয়েকজন স্থানীয় নেতার চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে অভিযোগ করেন। ওই লাইভের সূত্র ধরেই মফিজুরের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
হামলার শিকার বিএনপিনেতা দিপু বলেন, ‘ছেলের ফেসবুক লাইভের জেরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস আমাকে কল দেয়। একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে বলে তোর ছেলেকে ফেসবুক লাইভ মুছে ফেলতে বল। না হলে তোর পরিবারকে শেষ করে দেব। তোর ছেলে আমাদের ইঙ্গিত করে কথা বলছে। হুমকির পরেরদিন গত সোমবার রাত ১০টার দিকে একদল অস্ত্রধারী আমার বাড়িতে হামলা করার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দিলে তারা আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আমার ছেলে বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ফেসবুক লাইভের জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী আব্দুল (৪২), তার ভাই জাহাঙ্গীর (৩৫) ও সোহাগের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্রধারী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমার বসতঘরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ও টিনের বেড়া ভেঙে তছনছ করে দেয়। আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বিএনপি নেতা মফিজুর রহমানকে ফোন করেননি কিংবা কোনো ধরনের হুমকিও দেননি। তাঁর (বিএনপি নেতা মফিজুর) ছেলে ছাত্রদলের সদস্যসচিব দাউদ ইসলামকে মাদক সেবন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের কারণে চার মাস আগে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ কারণে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ঘর ভাঙচুর করে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, ‘এটা মনে হয় তাদের দলীয় কোন্দল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
