জুলাই অভ্যুত্থানে পটুয়াখালীর দুমকিতে এক শহীদের কলেজপড়ুয়া মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় তিন কিশোরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৭ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুমকি থানার পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, তিন কিশোরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সাজেদুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় প্রাথমিকভাবে দুই কিশোরের নাম ছিল। তদন্ত চলাকালে আরেক কিশোরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। ২২ মার্চ এজাহারভুক্ত আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হলে ২৭ মার্চ আদালত এক কিশোরকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর আরেক অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করে। তবে তৃতীয় অভিযুক্ত কিশোর এখনো পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তাকে গ্রেফতারে একাধিক অভিযান চালানো হয়েছে, কিন্তু সে আত্মগোপনে রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ শহীদ বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি ফেরার পথে ওই ১৭ বছর বয়সি কলেজছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পরদিন সে নিজেই দুমকি থানায় একটি মামলা করে। গ্রেফতার হওয়া দুই কিশোরকে আদালতের নির্দেশে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, তদন্ত চলাকালে গত ২৬ এপ্রিল ঢাকার শেখেরটেক এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার গ্রামের বাড়িতে শহীদ পিতার কবরের পাশে দাফন করা হয়।