বিগত হাসিনা সরকারের আমলে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা আয়োজন থাকত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের। দলটির এমপি-মন্ত্রীসহ নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর থাকত সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স।
হাসিনা সরকারের পতনের পরও গত বছর এই দিনে টুঙ্গিপাড়ায় শোক দিবস পালন করেছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। তবে এ বছর প্রেক্ষাপট একদমই ভিন্ন। সমাধিসৌধে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে আসেননি সাধারণ সমর্থকসহ নেতাকর্মীরা। দিনটি ঘিরে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে টুঙ্গিপাড়ায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান ফটকে পুলিশের পাহারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়া পুলিশের সাঁজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সমাধিসৌধের তিনটি প্রবেশদ্বারই সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারাদিনে কোনো দর্শনার্থী বা আওয়ামী লীগের কাউকে সমাধিসৌধে আসতে দেখা যায়নি।
সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা গেছে, সমাধির বিভিন্ন সড়কে পড়ে আছে গাছের মরা পাতা। পথের টাইলসে পড়েছে শ্যাওলা। বিশ্রামাগার ও সমাধির বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্রে জমেছে ধুলো। সমাধির ফুলগাছগুলোও যেন প্রায় মৃত।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে সমাধিসৌধে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সমাধির চারপাশে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে আছে।
ধানমন্ডি ৩২ ঘিরে কঠোর অবস্থানে পুলিশ