নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বিড়ালে কবুতরের বাচ্চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরো চারজন আহত হয়। গত সোমবার রাতে নাসির উদ্দিন (৫৫) নামে এক কৃষক স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে গত রোববার দুপুরে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় গত রোববার রাতে নিহতের ভাই আকতার হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ করেন।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু খবর শোনার পর থেকে অভিযুক্তরা বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি গ্রামে মো: আকতার হোসেনের সাথে প্রতিবেশী মো: আসাদুল্লাহের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত রোববার দুপুরে আসাদুল্লাহর পালিত বিড়াল আকতারের পালিত একটি কবুতরের বাচ্চা খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে ওই দিনই ভিটিকান্দি গ্রামেই দু’পক্ষে মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আকতার হোসেনের বড় ভাই কৃষক নাসির উদ্দিনসহ তার বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। এসময় আসাদুল্লাহর নেতৃত্বে ছেলে আবির হোসেন, অভি মিয়া, ভাতিজা রাসেল মিয়া, স্ত্রী জুলেখা আক্তার বেবিসহ আরো ২-৩জন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারমূখী হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে ধারালো ছোরা ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আকতার হোসেন, তার স্ত্রী সেলিনা, চাচী রওশন আরা, বড় ভাই নাসিরউদ্দিন ও নাসিরউদ্দিনে স্ত্রী নাজমা বেগম আহত হয়। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে নাসিরউদ্দিনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছোট ভাই মো: আলাউদ্দিন মিয়া জানান, তার ভাই আকতার হোসেন কবুতর লালন পালন করেন। আসাদুল্লাহর পালিত বিড়াল তাদের কবুতরের বাচ্চা খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে তার ভাই আসাদুল্লাহকে বিষয়টি অবগত করলে তারা ঝগড়ায় জড়ায়। এসময় তারা এলোপাথারিভাবে হামলা করে তাদের পাঁচজনকে আহত করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার বড় ভাই নাসিরউদ্দিন মারা যান। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত আসাদুল্লাহ ও তার পরিবার মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর বাড়িঘরে তালাবদ্ধ করে আত্মগোপনে যাওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো: রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, ‘হামলার ঘটনায় গত রোববার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু হামলার ঘটনায় আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেহেতু ওই অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।’
আজ থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’