ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ নিশ্চিত করতে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে বরগুনা জেলা পুলিশ। আর এ লক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চাকরিপ্রার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি দেওয়া হয়েছে সচেতন বার্তা।
প্রতারণার ফাঁদে না জড়াতে ইতোমধ্যে বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়েছে প্রচার মাইকিং ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ।
বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৬ থেকে ১৮ আগস্ট পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশের নিয়োগে মানুষের মধ্যে একটি ধারণা থাকে, ঘুষ ছাড়া পুলিশের চাকরি হয় না। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গোপনে সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। তারা পুলিশের চাকরি পাইয়ে দিতে শতভাগ নিশ্চয়তার প্রলোভন দেখিয়ে প্রার্থী ও পরিবারের সদস্যদের থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।

গত বছর বরগুনার নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরির শতভাগ আশ্বাস দিয়ে বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা ইব্রাহিম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়েনেয় প্রতারক চক্র। পরে ওই প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ বছর যাতে নতুন করে কোনো প্রতারক চক্রের প্রলোভনের ফাঁদে কেউ না জড়ায় সে লক্ষে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বরগুনা জেলা পুলিশ। এ কারণেই বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্ক বার্তা পোস্টের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করেছেন জেলা পুলিশ।
বরগুনা পুলিশ সুপার ইব্রাহীম খলিল বলেন, বরগুনায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের ও তাদের অভিভাবকদের জানাতে চাই, কেউ যদি টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়, তবে বুঝতে হবে তারা প্রতারক চক্রের সদস্য। পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর রয়েছে।
