ঢাকা
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নাজিরপুর খালের ব্রিজটি যেন মরণ ফাঁদ!

আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৫ পিএম

ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তরুল্লাহ সেন্টার এলাকার বাসাবাড়ি সংলগ্ন নাজিরপুর খালের ওপরের আয়রন ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

ব্রিজের বেশির ভাগ অংশের হাতল ভেঙে গেছে। মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ব্রিজটি এখন যেন মৃত্যুকে হাতছানি দিচ্ছে!

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন দেখা যায়, ব্রিজের একপাশের অংশ ধ্বসে পড়েছে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে বিপজ্জনক ব্রিজটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন মানুষজন।

শিক্ষার্থীরা ব্রিজ পার হয়ে যাচ্ছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায়। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ব্রিজের ভেতর সৃষ্টি হওয়া গর্তের ওপর দেওয়া হয়েছে কাঠের পাটাতন। যানবাহন তো দূরের কথা, ব্রিজের ওপর দিয়ে মানুষ হাঁটলেই থরথরে কাঁপতে থাকে। 

জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর আগে এই আয়রন ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। যার দৈর্ঘ্য অন্তত ৩০ মিটার। নির্মাণের পর বেশ কয়েক বছর ধরে কোনো রকমের মেরামত না করায় ব্রিজটি ধীরে ধীরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়তে শুরু করে। বিগত ২ বছর ধরে ব্রিজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে জরাজীর্ণ ব্রিজটির ওপর দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছেন কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয় শিক্ষার্থী মোসা. ইকরা ও সাবিহা আক্তার বলেন, ‍‍এই ব্রিজটির খুবই খারাপ অবস্থা। “ব্রিজের ভেতরে কয়েকটি বড় বড় গর্ত। আমাদের ব্রিজটি পার হয়ে স্কুলে যেতে খুব ভয় হয়, মনে হয় এই বুঝি ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে ব্রিজটি। আমাদের মতো এই এলাকার সব শিক্ষার্থীরাই ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচল করতে ভয় পান।”

মাওলানা মো. মনছুর, ইসমাইল বিশ্বাস ও মাওলানা মো. কাজি শাহে আলম নামে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই ব্রিজটি আমাদের গ্রামসহ আশেপাশের আরো কয়েকটি গ্রামের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে মানুষ তাদের প্রয়োজনসারতে হাসপাতাল এবং লালমোহন সদরে যান। এছাড়া আশেপাশের স্কুল, মাদ্রাসা এবং কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। সাইকেল ছাড়া আর কোনো যানবাহনই এই ব্রিজের ওপর দিয়ে চলতে পারে না। মানুষ হাঁটলে থরথর কাঁপে ব্রিজটি। কয়েকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।”

এদিন তারা দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, স্থানীয় হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্যশিগগিরই যেন ব্রিজটি অপসারণ করে এখানে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।”

এলজিইডির লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, “ব্রিজটি আমরা পরিদর্শন করেছি। এটি আর মেরামত করার মতো অবস্থায় নেই। নতুন করে ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। এ জন্য আমরা ওই ব্রিজটিসহ উপজেলার আরো কয়েকটি জরাজীর্ণ ব্রিজের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই ব্রিজগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।”

IMS/NJ
আরও পড়ুন