ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জাহাজে ৭ খুন: মরদেহ নিতে স্বজনদের ভিড়

স্বজনেরা বলেন, এ ঘটনায় বেঁচে থাকা ফরিদপুরের জুয়েল (৩৫) একমাত্র বলতে পারবেন, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত।

আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম

চাঁদপুরের মেঘনায় সারবাহী জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ নিতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সামনে ভিড় করেছেন স্বজনেরা। এদিকে এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

স্বজনেরা বলেন, এ ঘটনায় বেঁচে থাকা ফরিদপুরের জুয়েল (৩৫) একমাত্র বলতে পারবেন, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত।

নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সাতটি মরদেহ গতকাল সোমবার রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে আনা হয়। খোঁজ পেয়ে আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে মরদেহ নিতে হাসপাতালে ভিড় করেছেন স্বজনেরা। কিন্তু ময়নাতদন্ত না হওয়ায় তাঁরা মরদেহ নিতে পারছেন না।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ আখন্দ বলেন, ‘রাতে লাশগুলো আসার পর আমরা সাতটি মরদেহ সুরতহাল শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ।’

জাহাজের নিহত লস্কর শেখ সবুজের (২৭) ছোট ভাই ও জাহাজের নিহত মাস্টার গোলাম কিবরিয়ার (৬৫) ভাগনে ফরিদপুরের সাদিকুর রহমান হাসপাতালের সামনে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে লাশগুলো নিতে এসে দেখলাম, সবার মৃত্যু একই ধরনের আঘাতে হয়েছে। আমরা এতে মনে করছি, এটি পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা। আমরা এ জন্য প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’

চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করতে পারিনি। তবে প্রক্রিয়া চলছে। তবে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ পৃথক তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, এমভি আল–বাখেরা জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম সচিবকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

AS
আরও পড়ুন