দেশে কোনো হরতাল-অবরোধ বা বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে তৈরি হয়েছে কনটেইনার জট। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে ২০টি কনটেইনারবাহী জাহাজ। মূলত ঘন ঘন কনটেইনার স্ক্যানিং মেশিন বিকল হয়ে পড়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও টার্মিনালে ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস কনটেইনার। তবে অপারেশনাল কাজ সচল রাখতে অন্তত ১৫ শতাংশ জায়গা খালি রাখা বাধ্যতামূলক। সেই হিসাবে, বন্দরে ৪৫ হাজার কনটেইনার থাকলেই পূর্ণ ধারণক্ষমতা ধরা হয়। অথচ গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জমে যায় ৪৮ হাজার ৭৫২টি কনটেইনার, যা ধারণ ক্ষমতার তুলনায় ৩ হাজারেরও বেশি বেশি। সোমবারও বন্দরে জমা ছিল ৪৮ হাজার ৪৯৪টি কনটেইনার।
একই সময়ে বন্দরে অবস্থান করছিল ৮৬টি জাহাজ। এর মধ্যে মেইন জেটিতে ১৭টি জাহাজে পণ্য খালাস চলছিল, যার ১২টি ছিল কনটেইনারবাহী। অন্যদিকে বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ ছিল আরও ৬৫টি জাহাজ, এর মধ্যে ৭টি কনটেইনারবাহী।
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের তথ্য বলছে, সোমবার বন্দরে ডেলিভারি হয়েছে ৩ হাজার ৮৩২টি কনটেইনার, খালাস হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৯টি এবং জাহাজে তোলা হয়েছে ৫ হাজার ৫৫টি। সব মিলিয়ে হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ হাজার ৬৪৪টি কনটেইনার।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, হ্যা, বন্দরে কনটেইনার বেড়েছে। তবে আমাদের সক্ষমতাও আগের তুলনায় বেড়েছে। বর্তমানে ইয়ার্ডে ৫৯ হাজার কনটেইনার রাখার সুযোগ রয়েছে।
স্ক্যানিং সংকট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ২/৩ দিন আগে একসঙ্গে ৪টি স্ক্যানার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় খালাসে বিলম্ব হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া খালি কনটেইনার এবং নিলামযোগ্য মালামালও জায়গা দখল করে রেখেছে। ১০ হাজারের বেশি নিলামযোগ্য এবং প্রায় ৩০০ ধ্বংসযোগ্য কনটেইনার সরানো গেলে অন্তত ২০ শতাংশ জায়গা খালি হয়ে যেত।
বাংলাদেশ ইন্ডল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, আমাদের ২১টি অফডকে কনটেইনার জট নেই। তবে বন্দরে স্ক্যানারের সমস্যার কারণে একটি কনটেইনার ডেলিভারিতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগছে। ২১টি অফডকে বর্তমানে ৭৬ হাজার কনটেইনার রয়েছে, এর মধ্যে ৬০ হাজার খালি। আমদানির ৮ হাজার ৫০০ এবং রপ্তানির ৭ হাজার ৫০০ কনটেইনার রয়েছে।
সেনবাগে খালের ওপর গড়ে তোলা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ