ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ

আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মুরগি ও গরুর খামারের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ ও বিষ্ঠা দিয়ে অর্ধকোটি টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে ইকবাল পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে।
 
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ধুম ইউনিয়নের মহাজনহাট এলাকায় অবস্থিত কমলা সাগর দিঘিতে এ ঘটনা ঘটে।
 
জানা গেছে, ধুম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ উদ্যোক্তা সাকিব চৌধুরী ৬ একর জায়গার ওপর কমলাসাগর নামে একটি দিঘিতে মাছ চাষ করেন। স্বপ্ন দেখেছিলেন বেকারত্ব ঘোচানোর। কিন্তু পার্শ্ববর্তী ইকবাল পোল্ট্রি এন্ড ডেইরি এগ্রো মুরগি ও গরুর ফার্মের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থে ভেঙে গেল সেই স্বপ্ন।
 
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী সাকিব চৌধুরী বলেন, আমি প্রায় ৮ বছর ধরে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ করছি। মাছের প্রকল্পের পাশে আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ ইকবালের মুরগী ও গরুর খামার গড়ে তুলেছে। বর্জ্য পরিশোধনের কোনো ব্যবস্থা না করেই সরাসরি খামারের বর্জ্য ফেলছে মাছের প্রকল্পে। এতে গত কয়েকদিন ধরে অর্ধকোটি টাকা মাছ মারা যায়।
প্রকল্পের পানি ব্যবহার কারণে গ্রামের মানুষের দেখা দিয়েছে চর্মরোগ। গত ২ দিন ধরে পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। মরে পচে যাওয়ায় বিক্রি করারও সুযোগ হয়নি। প্রতিটি মাছের সাইজ ছিল এক কেজি থেকে দেড় কেজি। এই মৌসুমে আমার ইনভেস্ট ছিল ৭০ লাখ টাকার বেশি। ইতোমধ্যে প্রায় সব মাছ মরে গেছে। 
 
তিনি আরও জানান, গত ৮ বছর মাছ বড় হলেই বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে ইচ্ছেকৃতভাবে মাছ মেরে ফেলে। এই নিয়ে অভিযোগ করলে মামলা-হামলার ভয় দেখাতো, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখাতো। এ পর্যন্ত গত ৮ বছরে ২ কোটি টাকার উপরে মাছ মেরে ফেলেছে আওয়ামী নেতা জাবেদ ইকবাল৷ 
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইকবাল পোল্ট্রি এগ্রো কমপ্লেক্সের সত্ত্বাধিকারী ধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ ইকবালের বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে এবং ফার্মে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর, ওয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে মিরসরাই সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, দিঘিপাড়ে অনেকগুলো মাছ মরার বিষয়টি জেনেছি। মৎস্যচাষী সাকিব অভিযোগ করেছেন, মুরগির ও গরুর ফার্মের বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ  বিষ্ঠার কারণে মাছগুলো মারা গেছে। এর আগেও এমন ঘটনা সেখানে ঘটেছিল। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। 
 
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন, বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ কমলাসাগর দিঘির মাছ মরে যাওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মৎস্য অফিসারের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
NJ
আরও পড়ুন