খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ ও সহিংসতায় গুলিতে নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, নিহতরা হলেন- রামসু বাজার এলাকার আলাকাই মারমার ছেলে তৈইচিং মারমা (২০), আমতলী পাড়ার থুহলাঅং মারমার ছেলে আথুইপ্রু মারমা (২১) ও চেং গুলি পাড়ার হাসু মারমার ছেলে আখ্রাউ মারমা (২২)।
তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার তথ্য দিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ বলেন, সহিংসতায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের জানান, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। এরপর মরদেহ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে চারদিন ধরে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা'। এই অবরোধ চলাকালে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সংঘর্ষে তিনজন মারা যান। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর এক মেজরসহ ১৩ সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয়দের অনেকে আহত হয়েছেন।
খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও ঢাকা সড়কে অবরোধ শিথিল
জাজিরায় ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল