মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি করা একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিনে পিকনিকে আসা দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় নেহাল আহমেদ জিহাদ নামের ওই যুবককে পুলিশ আটক করেছে।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে আটক করে। আটক নেহাল আহমেদ জিহাদ সদর উপজেলার দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, লঞ্চটি ঢাকা-লালমোহন রুটের প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। লঞ্চটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার বেশ কয়েকটি কেবিনে ২০-২৫ জন কিশোর-যুবক ও দুই তরুণী ছিলেন। তারা ঢাকা থেকে ওই লঞ্চের কেবিন ভাড়া করে সারাদিন পিকনিক করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা রঙের পোশাক পরিহিত এক তরুণীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে বেল্ট দিয়ে বেপরোয়াভাবে পেটাচ্ছেন মুন্সীগঞ্জ শহরের নেহাল আহমেদ জিহাদ নামে একজন। এ সময় ৫০-৬০ জন বিভিন্ন বয়সী পুরুষ সেই দৃশ্য তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করে উল্লাস করছেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মারধরকারী নেহাল আহমেদ জিহাদ বলেন, স্থানীয় কয়েকশ লোক তাদের আচরণ ও বেশভূষায় পতিতা বলে আখ্যায়িত করে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করতে চলে আসে। আমি তাদের নিবৃত্ত করতে ভাই হিসেবে শাসন করেছি। এটা আমার করা উচিত হয়নি। আবার আমি এটা না করলে মানুষজন আরও বেশি হেনস্তা করতো। তাছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকে অন্তত ৮টি মোবাইল আমি তাদের উদ্ধার করে দিয়েছি। পরিস্থিতি শান্ত করতেই ভাই হিসেবে এই কাজ করেছি। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, লঞ্চে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে। তারা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে। মামলা দায়ের শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।