ঢাকা
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে

আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সতাল থেকে জেলা খাদ্য গুদাম পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে থাকলেও রাস্তাটি সংস্কারে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

খানাখন্দে ভরা রাস্তায় বড়বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। প্রায়শই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে শীতে রয়েছে ধুলোবালির উপদ্রব। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পৌরসভার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সবচেয়ে অবহেলিত হলো ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব তারাপাশা এলাকা। যেখানে নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পরিকল্পিত সড়ক। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘর থেকে বের হতে পারে না এলাকার বাসিন্দারা। বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া।

সড়কের যে অবস্থা তাতে যানবাহন চলা দূরের কথা, মানুষ চলা দায়। সড়কের মাঝখানে বড়বড় গর্ত থাকায় অটোরিকশাসহ কোনো যানবাহনই এই সড়কে চলার উপযুক্ত নয়। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নেয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে হাজারো মানুষ। 

অটোরিকশা চালক সুজন মিয়া মাহবুব বলেন, আমরা গরীব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। রাস্তার কারণে গাড়ির পেছনে যত টাকা খরচ হয়, তাতে আমাদের পরিবার নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। 

সরেজমিন দেখা যায়, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সতাল থেকে পূর্বতারাপাশা পর্যন্ত রাস্তার একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন পথচারী ও যানবাহন চালকরা। 

এদিকে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তার এই অবস্থায় ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে আধা ঘণ্টা বা তার বেশি সময়। সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি হচ্ছে ভোগান্তিও। বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীদের। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমরা শহরতলীর বাসিন্দা, শহরের প্রাণ কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য আমরা এ সড়ক ব্যবহার করি। বর্ষায় সড়কের ৯৭% স্থানে পানি জমে। বর্তমানে পৌরসভা কর্তৃক এ সড়কের আংশিক কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর। কিন্তু হঠাৎ তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কেন বন্ধ হলো, তা কেউ বলতে পারে না। এ বিষয়ে পৌরসভার প্রকৌশলীর নজর দেওয়া প্রয়োজন।

এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সড়কের সংস্কার কাজটি কিশোরগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ করে দেবে। 

বিগত তিন বারের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম আরজু জানান, আমি ৩ বার রাস্তাটি মেপে সাবেক আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচিত পৌর মেয়র মো. পারভেজ মিয়াকে তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু বারবার ফান্ডের অজুহাত দেখিয়ে রাস্তাটির কাজ তিনি করেননি। এখন তো তিনি আর দায়িত্বেও নেই।
 
এসব বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কার্পেটিংয়ের কাজ আগামী সেপ্টেম্বরের দিকে করা হবে। এমনিতে খানাখন্দ বা গর্ত থাকলে সেগুলো ভরাটের ব্যবস্থা শীঘ্রই আমরা পৌরসভা থেকে করে দেবো।

NJ
আরও পড়ুন