ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মসজিদে ধর্ষণের শিকার শিশু, স্বপরিবারে পলাতক মোয়াজ্জেম 

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬ বছরের শিশু। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বায়তুল আমান জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম আব্দুল কুদ্দুস মসজিদের মোয়াজ্জেম চাকরি সুবাধে স্বপরিবারে বাসা নিয়ে থাকতেন। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশের পর থেকে তিনি স্বপরিবারে পলাতক রয়েছে। 
 
গত মঙ্গলবার উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া চান মিয়া সরকার বাড়ি বায়তুল আমান জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। 
 
স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুর বাবার রুবেল মিয়া একজন পাদুকা ব্যবসায়ী। তিনি ভৈরব উপজেলার জামালপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া চান মিয়া সরকারের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন৷ 
 
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে মসজিদের মক্তবে আরবি পড়তে যেতে বললে ভুক্তভোগী শিশু যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। তার মা মক্তবে যেতে জোরাজুরি করলে শিশুটি মরে যাবে বলে মাকে জানায়। এ সময় তার মা বুঝতে পারে মেয়ের সাথে কিছু হয়েছে।
শিশুটি মাকে জানায়, মক্তবের মোয়াজ্জেম প্রতিদিনই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার সকালেও শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এতে ভুক্তভোগী শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। শিশুটি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকার সচেতন অভিভাবকরা জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
 
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুর মা মৌসুমী বেগম বলেন, মসজিদে মক্তবে পড়তে গিয়ে আমার শিশু কন্যাকে প্রতিদিনই শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। তাকে মেরে ফেলবে বলে কাউকে এসব কথা বলতে নিষেধ করেছে। তাই সে এতোদিন আমাকে এসব কথা বলেনি। আমার মেয়ে সাথে মসজিদের মোয়াজ্জেম যেসব কুর্কম করেছে, সেটা যেন আর কোন পরিবারের সন্তানদের সাথে না ঘটে। সেজন্যই অভিযুক্ত মোয়াজ্জেমের কঠিন শাস্তির দাবি জানান তিনি। 
স্থানীয় বাসিন্দা সাফিকুল ইসলাম বলেন, মসজিদের মক্তবের মোয়াজ্জেম যখন শিক্ষার্থীদের আরবি পড়াতেন, তখন তিনি প্রায় সময় মেয়ে শিশুদের কোলে নিয়ে বসে থাকতেন। অনেক অভিভাবকের চোখে এমন দৃশ্য পড়েছে। এসব ঘটনা মসজিদ কমিটিকে জানানো পরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। 
 
আরেক বাসিন্দা মসজিদের মুসল্লী উসমান গণি বলেন, মসজিদের মোয়াজ্জেমে বিরুদ্ধে এর আগেও শিশুদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ শুনেছি। কিন্তু কেউ তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেনি। 
 
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, মসজিদের মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ শুনেছি। ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। 
NJ
আরও পড়ুন