কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রেলওয়ে স্টেশনে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত দেড়শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ভৈরব রেলওয়ে থানায় এই মামলা দায়ের করেছেন রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ।
আটকরা হলেন- মো. সাজন (১৭) মো.ফাহিম (১৮) ও মো. আরমান (১৭)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভৈরব বাজার জংশন রেলওয়ে স্টেশনে ভৈরব ৬৫তম জেলার দাবিতে ‘পল্লী জাগরণী সংঘ ভৈরব’ নামক একটি স্থানীয় সংগঠনের ২০০/২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ রেলওয়ে স্টেশনের ১নং প্লাটফর্মের ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন এসে ১নং লাইনের উপর অবরোধ সৃষ্টি করেন।
এ সময় স্টেশনে আটকে থাকা "উপকূল এক্সপ্রেস" ট্রেনটি ২৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার দিকে চলতে শুরু করে। এর মধ্যে অবরোধকারীদের একাংশ অনুমান ১০০/১৫০ জন অজ্ঞাতনামা অবরোধকারীরা দলবদ্ধভাবে পাথর নিক্ষেপ করে যাত্রীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, ঘটনাস্থলে ত্রাস সৃষ্টি করে ট্রেনের যাত্রীদের জনমনে আতংক ও ভীতির সঞ্চার করে অতর্কিতভাবে ট্রেনের ইঞ্জিন, বগি লক্ষ্য করে ইটপাথর নিক্ষেপ করেন।
এতে ট্রেনের ইঞ্জিন কোচের একটি লুকিং গ্লাস, একটি হেড লাইট, একটি সাইড গ্লাস, গার্ডরুমের একটি গ্লাস ও খাবার বগির রুজ করা উপরের দুটি গ্লাসসহ ট্রেনের ইঞ্জিনের উপরের বিভিন্ন স্থানের রং চটা হয়ে অনুমান এক লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনায় দেড়শ জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন ইউসুফ জানান, জেলার দাবিতে রেলপথ অবরোধের সময় দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে ট্রেন আটকে কর্মসূচির শেষের দিকে হঠাৎ করে বৃষ্টির মত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারেন অবরোধকারীরা। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি ও যাত্রীদের ভয়ভীতির দেখানোর অভিযোগে ভৈরব রেলওয়ে থানায় আমার মাধ্যমে অজ্ঞাত দেড়শ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সাঈদ আহমেদ জানান, ২৭ গতকাল রেলওয়ে স্টেশনে জেলার দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময়ে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনায় অজ্ঞাত দেড়শ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
