গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মোথাজুরী এলাকায় চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে। কবরস্থান থেকে নিজের মায়ের লাশ তুলে এনে ঘরে মশারির নিচে লেপ–কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখার অভিযোগ উঠেছে সজিব হোসেন নামের এক মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও চরম কৌতূহল।
স্থানীয় সূত্র, নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, স্বামী আনতাজ আলীর মৃত্যুর পর খোদেজা বেগম তার একমাত্র ছেলে সজিবকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। বাবা না থাকার সুযোগে সজিব দীর্ঘদিন ধরে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই মায়ের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ ও নির্যাতন করত। গত শনিবার দুপুরে তীব্র বাকবিতণ্ডার পর মানসিক যন্ত্রণায় খোদেজা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে রেবিবার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কিন্তু রাতের কোনো একসময় সজিব গোপনে কবর খুঁড়ে লাশ তুলে এনে নিজের ঘরে মশারি টানিয়ে লেপ–কাঁথা দিয়ে ঢেকে রেখে দেয়। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে কবরস্থান গিয়ে কবর খোলা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে জানা যায়, সজিব ঘর বন্ধ করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
পুলিশকে খবর দিলে স্থানীয়দের সহায়তায় সজিবের ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কর্তৃপক্ষ। ঘরের মশারির নিচে লেপ–কাঁথায় মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় খোদেজা বেগমের লাশ, যা থেকে তখন তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
এর আগের রাতে সজিব তার মামা আব্দুল মান্নানকে ফোন দিয়ে মাকে কেন দাফন করা হয়েছে—এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দাফনকাজে অংশ নেওয়া স্বজনদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহতের ভাই আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, সজিব আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়েছে। আমাদের পরিবার এখন চরম ভয়ের মধ্যে আছে।
ফুলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুরুজ জামান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক ও মর্মান্তিক। স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ পুনরায় দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মোথাজুরী এলাকায় এখনো চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
দাফনের দেড় মাস পর কবর থেকে ঠিকাদারের মরদেহ উত্তোলন
নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশদাতা গ্রেপ্তার