খুলনায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়নি এখনও। বরং জোয়ারের পানির চাপে বাঁধ আরও দুর্বল হয়েছে। বাঁধ মেরামত না হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসের কারণে উৎকণ্ঠায় আরও বেড়ে যায় উপকূলবাসীদের।
স্থানীরা জানায়, গত ১৯ অক্টোবর দাকোপ উপজেলার লক্ষ্মীখোলা গ্রামে প্রায় ৪০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত জিও টিউব দিয়ে কোনোমতে তা মেরামত করেছে। তবে জায়গাটি এখনও পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত হয়নি। একই দিন পাইকগাছায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। উপজেলার নড়া নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার লতার ইউনিয়নের এ ভাঙন দেখা দেয়। পরে ২০ অক্টোবর সকালে নদীতে ভাটা শুরু হলে পানি কমতে শুরু করলে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কয়রা উপজেলার দশহালিয়া, শিকারিবাড়ি, হোগলা, কালীবাড়ি, গুরিয়াবাড়ি, ৪; ৫ ও ৬ নম্বর কয়রা, মঠবাড়ি ও কাটমারচর এলাকার প্রায় সাত দশমিক ৮৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। দাকোপ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া, বানিশান্তা, নিশানখালী, আন্ধারমানিক, আড়াখালী, কালিবাড়ী, খলিসা, মৌখালী, রায়বাড়ি, তাঁতখালী ও তিলডাঙ্গা এলাকায় চার দশমিক ২৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধও ঝুঁকিতে।
জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে পাইকগাছা উপজেলার জামাইপাড়া, বাসাখালী, হারিখালী, বাইনতলা খেয়াঘাট, পশ্চিম কানাইমুখী, ননিয়াপাড়া, পাইশমারী, কুড়ুলিয়া, সেলেমানপুর ও পুরাইকাটি এলাকার সাত দশমিক ৪৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
এছাড়া বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোভূঁইয়া, কড়িয়া, কড়িয়া জব্বারখালী, ঠাকুরানবাড়ি, বুজবুনিয়া, দ্বীপ বরণপাড়া, কল্যাণশ্রীপুর, বটিয়াঘাটা বাজার এলাকার তিন দশমিক ২২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অবস্থাও জরাজীর্ণ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামত করা হয়েছে। কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটার প্রায় ২৩ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতের জন্য সম্প্রতি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
