ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ঈদের দিন বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত ১০টি গ্রাম

বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কার করা না হলে উপজেলার খাজরা, বড়দল ও প্রতাপনগরের নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোলপেটুয়া নদীর বে‌ড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লা‌বিত হ‌য়ে‌ছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘার মৎস্য ঘের। এতে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। 

সোমবার  (৩১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে ঈদের নামাজ শেষে পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের কাছ থেকে প্রায় দেড়’শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করেই খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এর ফলে আনুলিয়া ইউনিয়নবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের আনন্দ গ্রামবাসীর কাছে নিরানন্দে পরিণত হয়।

স্থানীয় গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন পয়েন্টে বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা চালালেও তা জোয়ারের তোড়ে ব্যর্থ  হয়ে যায়। এদিকে , বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কার করা না হলে উপজেলার খাজরা, বড়দল ও প্রতাপনগরের নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শওকত হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনু‌লিয়াসহ আশপাশের আরও ৬টি গ্রামে পা‌নি ঢুকেছে। এসব গ্রামের বা‌ড়ি ঘরে পা‌নি ঢুকেছে। মৎস্য খামার ভেসে গেছে। দ্রুততম সময়ে বাঁধ বাধতে না পার‌লে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লা‌বিত হতে পারে।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।

AA/br
আরও পড়ুন