কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উৎসব। শনিবার (১০ মে) বিকেলে আলোচনা সভা, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব।
জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জাতীয়ভাবে আয়োজিত এ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যানার, ফেস্টুন ও আলপনায় বর্ণিল কুটিবাড়ী। আর উন্মুক্ত রবীন্দ্র মঞ্চে চলছে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। চত্বরে বসেছে বিশাল গ্রামীন মেলা। কুঠিবাড়ী প্রাঙ্গন জুড়ে লোকে লোকারণ্য। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে।
কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মো.আল আমিন জানান, জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্রসংগীত, নাটক ও মেলার মাধ্যমে শনিবার মধ্যরাতে উৎসবের পর্দা নামবে।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জন্মজয়ন্তী উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ৮ মে (বৃহস্পতিবার) বাংলা ২৫ বৈশাখ ভার্চুয়ালি রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নৃত্য, রবীন্দ্র সংগীত, আলোচনা সভা, মঞ্চনাটক ও গ্রামীণ মেলার মধ্য দিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকীর উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এ আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১৮৯১ সালে জমিদারী দেখাশোনার জন্য প্রথম কুঠিবাড়ীতে আসেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারী আর ব্যবসার কারণে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে আসতেন তিনি।