আবারও নতুন করে কুষ্টিয়ায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা। গেল সপ্তাহে ঢাকা থেকে আসা দুইজন কোভিড পজিটিভ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে রোগীরা প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।
এদিকে করোনার বিস্তার নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়ানোর মধ্যে দুই কোটি টাকায় নির্মিত কুষ্টিয়ার একমাত্র পিসিআর ল্যাবের একটি কক্ষের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলার মানুষের করোনাভাইরাস শনাক্তের কাজ চলতো এই ল্যাবে।
তবে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল ল্যাবটি। মাসখানেক আগে চুরির বিষয়টি টের পাই সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিনিয়ত করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হলেও জেলার একমাত্র ল্যাবে পরীক্ষা করতে না পারায় হতাশায় ভুগছেন রোগীরা।
ল্যাবের ইনচার্জ ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজমিন নাহার বলেন, চুরির ঘটনায় পিসিআর ল্যাবের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ভবনের পেছনের জানালার গ্রিল কেটে ১টি পিসিআর মেশিন, ৫টি এসির আউটডোর, একটি ইনডোর, কম্পিউটারসহ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। এই নিয়ে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটিও রির্পোট দিয়েছেন। চুরির ঘটনার পর পিসিআর ল্যাবের বাকি যন্ত্রাংশগুলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কিটসহ প্রয়োজনীয় সরন্জাম আসলেই আবারো কোভিড পরীক্ষা চালু হবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম খবর সংযোগকে বলেন, চুরি হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় আইশোলেসন ওয়ার্ডগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ, ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে এ জেলায় কোভিডে মারা গেছেন ৮শত ৫৫ জন। আক্রান্ত হয়ে ছিলেন ৪ হাজারের মতো রোগী। এখন থেকে সতর্ক না হলে করোনার মহামারী দেখা দিতে পারে এ জেলায়। তাই একমাত্র পিসিআর ল্যাবটি দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ।
