কুষ্টিয়ায় মুছে ফেলা হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম

কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন দেয়ালে আঁকা হয় জুলাই অভ্যুত্থানের নানা গ্রাফিতি। তবে কুষ্টিয়া পৌরসভার সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবনের সীমানা প্রাচীরের দেয়ালে আঁকা জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে।এই কাজটি করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল করিম।
 
এ ঘটনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থী এবং আহতদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বুধবার (১৮ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়া পৌরসভার দেয়ালে আঁকা জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি অবিকল রয়েছে, রাস্তার ওপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবন। বাড়ির সীমানা প্রাচীর আগে থেকে উঁচু করা হয়েছে এবং উপরে তারকাটা দেওয়া হয়েছে। এটা করার সময় নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল করিম তার সরকারি বাসভবনের দেয়ালে আঁকা জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলেছেন।

এ ব্যাপারে গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধা শরিফুল ইসলাম বলেন, এসব গ্রাফিতি শুধু প্রতিবাদের প্রতীকই ছিল না, জুলাই আন্দোলনের স্মারক ছিল। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের ১০ মাসের মধ্যেই সরকারি ভবনের দেয়ালে আঁকা ফ্যাসিস্ট বিরোধী গ্রাফিতি মুছে ফেলা কাম্য নয়। ফ্যাসিস্টের সহযোগী হিসেবে প্রকৌশলী মনজুরুল করিম আবারও স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তবে এই পরিকল্পনা ছাত্র জনতা কখনোই বাস্তবায়ন করতে দিবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে ধারন করার জন্য দেয়ালে গ্রাফিতি করা ছিল, মানুষের মাঝে ফুটিয়ে তোলার জন্য। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবনের দেয়াল থেকে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি মুছে দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং এখানে আবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি করে দিবেন বলেও আমাদের জানিয়েছেন।

এবিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল করিম খবর সংযোগকে বলেন, বাসভবনের দেয়ালটি নিচু ছিল,উঁচু করা হয়েছে। সেখানে যে গ্রাফিতি ছিল, সেগুলো সময়ের ব্যবধানে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে অনেক জায়গা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। গ্রাফিতি আন্দোলনের একটি গৌরবময় অধ্যায়। সরকারি ভবনগুলো রুটিন অনুযায়ী সংসস্কার করা হয়, সে অনুযায়ী এটা মেরামত এবং সাদা রং করা হয়েছে।

SN