ঐতিহ্যবাহী দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাইস্কুলের দেয়ালজুড়ে আঁকা হয়েছে রঙিন শিক্ষামূলক গ্রাফিতি। নানা রঙে সাজানো এসব চিত্রকর্মে ফুটে উঠেছে শিক্ষামূলক লেখা ও বার্তা, যা সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে পুরো স্কুল আঙিনায়। প্রতিদিনই এগুলো দেখতে ভিড় করছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে গ্রাফিতি চিত্রগুলোর আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার আবু তৈয়ব মো. ইউনুস আলী ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজজাত আলী আজাদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল হক উজ্জল, শহীদ হাসান ফয়েজ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি খাদেমুল বাশার, ডেইলি সানের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি রেজাউল করিম রেজা, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কুষ্টিয়ার সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. সোহেল রানা, হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আবু হেলাল সোনা, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেম্বার আল হেলাল, দি ওন্ড কুষ্টিয়া হাই স্কুল পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য সেলিম মাহামুদ, সহকারী শিক্ষক মতিউর রহমান মতি,মামুন অর রশিদ প্রমুখ।
গ্রাফিতির উদ্যোক্তা ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজজাত আলী আজাদ বলেন, স্কুলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। দায়িত্ব পাওয়ার পর স্কুলকে পেয়েছি ভাঙ্গাচোরা একটা প্রাইভেট গাড়ি মতো। এই প্রাইভেট গাড়িকে মেনটেনেন্স করে একটা পর্যায়ে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছি। আল্লাহ রহমতে যে ধারাটা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, এই ধারায় যদি চলতে থাকে এবং শিক্ষকরা যদি তাদের জ্ঞান, মেধা দিয়ে কাজ করেন তাহলে আমার মনে হয় এই স্কুল আর পেছনের দিকে যাবে না। আমার নিজ উদ্যোগে এবং নিজ অর্থায়নে এই গ্রাফিতি করেছি।

কারণ সাধারণ মানুষ দেখবে, শিক্ষার্থীরা এটি দেখে উৎসাহিত হবে। এই স্কুলে সুন্দর সবুজায়ন করার চেষ্টা করছি, যাতে শিক্ষার্থীরা মনমুগ্ধকর পরিবেশ পায়। আপনারা দেখেছে জেনজি (প্রজন্ম জেড) বিশ্বটাকে চেঞ্জ করে দিয়েছে। এই দেশের ১৭ বছরের ফ্যাসিস্টকে জেনজি উল্টিয়ে দিয়েছে। এখন যারা স্কুলে লেখা পড়ে করছেন তারা জেনআলফা। আমরা তাদের জন্য যা দিয়ে যাচ্ছি, তারা সেটাই পাবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার আবু তৈয়ব মো. ইউনুস আলী বলেন, এমন শিক্ষামূলক গ্রাফিতি উদ্যোগ সারাদেশের জন্য রোল মডেল হতে পারে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি আরও আগ্রহী হবে। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের উদ্যোগ জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।
