উদ্বোধনের ১০ বছর পার হলেও যাত্রী ও বাস মালিকদের যেন গলার কাটা মেহেরপুরের নতুন বাসস্ট্যান্ড। সীমানা প্রাচীর না থাকায় পুরো এলাকা অরক্ষিত। মাঝে মাঝেই চুরি হয়ে যায় বাসের যন্ত্রাংশ। চালু করা হয়নি যাত্রীদের জন্য শৌচাগার। ফলে ব্যাহত হচ্ছে যাত্রী সেবা।
গত ১০ বছরের মধ্যে ২ বার উদ্বোধন হলেও পুরো কাজ সম্পন্ন হয়নি আজও। নির্মাণ করা হয়নি সীমানা প্রাচীর, ড্রেন, ইয়ার্ড, আরসিসি রোড।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক চিলতে বৃষ্টি হলেই কাঁদা হয়ে যায়, পলেস্তারা খসে পড়ছে অবকঠামো থেকে। এরই মধ্যে রাখা হয়েছে যানবাহনগুলো। অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে ভবনের জানালা-দরজা ইলেকট্রিক ওয়ারিং ও রংয়ের কাজ। চালু হয়নি পুলিশ বক্স ও ক্যান্টিন। ভগ্নাবস্থায় পড়ে রয়েছে পাবলিক টয়লেট। যেন দেখার কেউ নেয়। পুরো এলাকা অরক্ষিত থাকার কারণে চুরি হয়ে যাচ্ছে যানবাহনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। টার্মিনালের এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শ্রমিক ও মালিকরা।

পৌর কতৃপক্ষ বলছে, পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ করার জন্য নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
পরিবহন মালিক কাদের জানান, উদ্বোধনের পর অতিবাহিত হয়েছে ১০ বছর। এখনও তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে কাউন্টারগুলো। ফলে অনেক যানবাহন মালিক তাদের গাড়ি রেখে দিচ্ছেন রাস্তার উপরে। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ব্যাহত হচ্ছে যাত্রী সেবা।
সাধারণ বাসযাত্রীরা অভিযোগ করেন, আমদের সড়কের উপর থেকে বাসে উঠতে হয়। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নতুন এই বাস টার্মিনালটি চালু হলে আমাদের জন্য নিরাপদ হতো।

বাস মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক বাবলু হোসেন জানান, সমস্যা সমানে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে বারবার ধর্না দিয়েও মিলছে না সমাধান।
মেহেরপুর পৌরসভা সহকারী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে করতে নতুন করে চাহিদাপত্র চাওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
মেহেরপুর পৌরসভা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম জানান, অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে সরকারের কাছে নতুন করে চাওয়া হয়েছে ১২ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ সমাপ্ত করে চালু করা হবে বাস টার্মিনালটি।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর পৌরসভার অধীনে প্রায় ৯ একর জমিতে ২০১০ সালে নির্মাণ শুরু হয় নতুন এই বাস টার্মিনালটি। ব্যয় করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা।
