ঢাকা
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জাল সনদে চাকরি: প্রধান শিক্ষককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
জাল সনদে চাকরি, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার দায়ে ঝিনাইদহের এক প্রধান শিক্ষককে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
 
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
 
দণ্ডপ্রাপ্ত রনি আক্তার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর নারায়ণপুর পুটিয়া গ্রামের নরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় গোয়ালপাড়া অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন-সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক।
২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন আক্তার রনি আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও জাল সনদ দিয়ে চাকরি করার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
 
বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয় উল্লেখিত রায় প্রদান করেন। সরকার পক্ষে এ্যাড এএসএম রাকিবুল হাসান ও আসামি পক্ষে তারিকুল ইসলাম মামলাটি পরিচালক করেন।
 
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি রনি আক্তার গোয়ালপাড়া অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন-সালেহা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদ পত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করে তা সঠিক বলে বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছিলেন। চাককি করার সুবাদে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যসহ স্কুলের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়। এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর আসামি রনি আক্তার তার সরকারি বেতন-ভাতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তার শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদ পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করেন। দাখিলকৃত শিক্ষক নিবন্ধন ও বিএড সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাছাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভুয়া ও জাল বলে প্রমাণ করে এবং তার সরকারি বেতন ভাতা বাতিল করেন।
 
আসামি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকাবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়কৃত টাকা ও কাগজপত্র বুঝিয়ে না দিয়ে ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি রনি আক্তার উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
NJ
আরও পড়ুন