ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি গ্রামে সকালে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল সাড়ে তিন বছরের শিশু সাইমা আক্তার সাবা। দিনভর অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাতে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পবহাটি গ্রামের প্রতিবেশী মাসুদের ঘর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাবা ওই গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সাবা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শিশুটির বাবা সাইদুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর পুলিশ আশপাশের পুকুরসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালালেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো হদিস মেলেনি। অবশেষে রাতে প্রতিবেশী মাসুদের ঘরের ভেতর সাবার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোজ কুমার ঘোষ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাসুদের স্ত্রী শান্তনা খাতুনকে (৩০) আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে এবং খুব শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।’
এদিকে ফুটফুটে শিশু সাবার মৃত্যুতে পবহাটি গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন শিশুটির বাবা-মা। এলাকাবাসী এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত