পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুস্থদের খাদ্য সহায়তার ৬৫ বস্তা চাল বিতরণ না করে ব্যক্তিগত গোডাউনে মজুত করে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৭ জুন) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে ২৩শ ১৮ কার্ডে দুস্থদের খাদ্য সহায়তার (ভিজিএফ) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে বিতরণ শুরু করে ঈদের আগেই বিতরণ সম্পন্ন করার কথা।
স্থানীয়রা জানান, বিপুল পরিমাণের চাল বিতরণ না করে নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ইউনিয়নের গোয়ারিয়া বাজারে তার ব্যক্তিগত গোডাউনে মজুত রাখেন। রোববার (১৬জুন) সন্ধ্যা থেকে ভ্যান যোগে কয়েক বস্তা করে চাল বিভিন্ন জায়গায় যেতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের।
গোডাউন থেকে চাল যাবার কথা জানাজানি হলে গোডাউনের আশেপাশে লোকজন ভিড় করতে থাকলে গোডাউনে থাকা চেয়ারম্যানের চেয়ারম্যানের লোকজন গোডাউন আটকে সটকে পড়েন। অভিযোগ পেয়ে ভোর রাতে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ ওই গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করেন।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকে ভ্যানে করে ৩০ কেজি বস্তার ভিজিএফ এর চাল গোডাউন থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবেই দুস্থদের চাল নিয়মের বাইরে তার ব্যক্তিগত লোকদের দেয়া হয় এবং পরে সেগুলো বিক্রি করেন।
আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা যন্ত্র দাবি করে চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, দেড় থেকে দুই শত লোক চাল নিতে আসে নাই। তাদের চাল গোডাউনে রাখা হয়েছে। ঈদের পরে সুবিধাভোগীদের ডেকে বিতরণ করা হবে। এটি ব্যক্তিগত গোডাউন নয়, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য অনুমোদিত গোডাউন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, অভিযান চালিয়ে ৬৫ বস্তা চাল গোডাউনে পেয়েছি। যে চাল গুলো ঈদের আগেই বিতরণ শেষ করার কথা ছিল। চেয়ারম্যান গোডাউনটি ইউনিয়ন পরিষদের দাবি করলেও স্বপক্ষে কোন কাগজ দেখাতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করে ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে আসা হয়েছে। আত্মসাতের অভিযোগসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
