ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

তাড়াশে হাট-বাজার উন্নয়নে স্থবিরতা, দুর্ভোগে জনসাধারণ

আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৩২ পিএম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হাট-বাজার ইজারা থেকে রাজস্ব পাওয়া কোটি কোটি টাকা পরে আছে ব্যাংকে। অথচ, হাট-বাজারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল দশা। মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্তহীন। আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে ক্রেতা-বিক্রেতা। বিশেষ করে এক সময়ের প্রসিদ্ধ হাট-বাজার ভেঙে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।
 
এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক বলেন, আগের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নরুল ইসলাম ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তাড়াশের ২৫টি হাট-বাজার উন্নয়নের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। এতদিনে টেন্ডার হয়ে যেতো। কিন্ত তার বদলিজনিত কারণে আরো কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহানের সম্মতি পাওয়া গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে।

প্রসিদ্ধ বৃহত্তর নওগাঁ হাটের ইজারাদার মো. নিজাম উদ্দীন বলেন, ২ কোটি ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা দিয়ে নওগাঁ হাট ইজারা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরো ২৪ টি হাট-বাজার রয়েছে। এসব হাট-বাজার থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পায় সরকার। যুগ পেরিয়ে গেছে হাট-বাজারের কোনো উন্নয়ন নেই। হাটের সেডগুলো ভেঙে পড়েছে। হাটের ভেতরের রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ। 

অপরদিকে ভুক্তভোগী ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, একটি হাট-বাজারেও ছাউনি নেই। রোদে পুড়তে হয়, বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে কাদাপানি জমে হাটে চলাফেরা মুশকিল হয়ে পড়ে। নলকূপ ও গণশৌচাগার নেই বললেই চলে।

RF/SN
আরও পড়ুন