ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলটের বাড়িতে শোকের মাতম

আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের লাশ গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজশাহীতে এসে পৌঁছায়। এতে সেখানে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

আত্মীয়-স্বজন ও উপস্থিত মানুষের কান্নায় আশেপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। কেউ কেউ হতভম্ব হয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন ‘আশ্রয়’ নামের সেই বাসার সামনে।

বর্তমানে বাসাটি ঘিরে চলছে শোকের মাতম। আশ্রয়'র আশেপাশে রয়েছে মানুষের আনাগোনা। যাওয়া-আসার সময় একজন আরেকজনকে দেওয়া সান্ত্বনার বাণী সবার কানে ভারি হয়ে উঠেছে। সবার মুখে ফুটে উঠেছে কষ্টের ছাপ।

সবার চোখে অশ্রু, অনেকেই কথা বলতে পারছে না। বাকরুদ্ধ হয়ে আশ্রয় থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে শত শত মানুষ। 

এর আগে, ওই দিন বিধ্বস্ত বিমানের নিহত পাইলট তৌকির ইসলামের জানাজা ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে নেওয়া হয় রাজশাহীতে। বিকেলে সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নগরীর সপুরা গোরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এদিকে, তৌকিরের মৃত্যুতে শোকের আবহ বিরাজ করছে রাজশাহী নগরীজুড়ে। সকাল থেকেই ভাড়া বাসায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন স্বজনরা। তৌকিরের বন্ধু-বান্ধবসহ পরিচিতরা তার রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। জেলা প্রশাসন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দোয়ার আয়োজন করেছে।

রাজশাহী নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ২২৩ নম্বর বাড়িটিতে ভাড়া থাকেন তৌকিরের বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন এবং ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন। আশেপাশের মানুষ জানান, এই পরিবার অত্যন্ত মিশুক। তৌকির ছিলেন ভদ্র ও মেধাবী তরুণ।

তৌকির রাজশাহীর গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি ওই কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে তৌকির যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে। 

NJ
আরও পড়ুন