ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পাবনায় পালক পিতা-মাতা ও বোন হত্যায় ইমাম তানভীরের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম

‎পাবনায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা মামলায় পালিত ছেলে তানভীর হোসেনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সেইসাথে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত তানভীর স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা।

‎সোমবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক তানভীর আহমেদ এই আদেশ দেন।
‎মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ জুন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার (৬০), তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন (৫০) ও দত্তক মেয়ে সানজিদার (১২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আব্দুল জব্বার ছিলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। নিঃসন্তান এই দম্পতি একদিন বয়সী শিশু সানজিদাকে দত্তক নিয়ে পাবনার দিলালপুর মহল্লায় বসবাস করতেন। এছাড়াও তার বাসার পাশে পাবনা ফায়ার সার্ভিস মসজিদের ইমাম তানভীর হোসেনকেও পালক ছেলে হিসেবে গ্রহণ করেন এই দম্পতি। তানভীরও তাদের বাবা-মা বলে ডাকতেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের মে মাসে ‎মসজিদ থেকে ছুটি নিয়ে নওগাঁর গ্রামের বাড়ি যান তানভীর। তার ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ৩১ মে রাতে পাবনার ভাড়ার বাসায় ফেরেন। মধ্যরাতের পর তিনি পালক পিতার বাড়িতে যান। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই তিনজনকে হত্যা করেন তিনি। পরে বাড়ির আলমারি ও লকার থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বেরিয়ে যান তানভীর।
ঘটনার পাঁচদিন পরে মৃতদেহ পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পুলিশ ওই বাসা থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর একদিন পর নওগাঁর নিজ বাড়ি থেকে তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তারভীর। সেই সময় তার দেখানো স্থান থেকে লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

‎ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. গোলাম সরোয়ার খান জুয়েল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে প্রায় পাঁচ বছর পর সোমবার আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।


JMR
আরও পড়ুন