নাটোরের গুরুদাসপুরে এক কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়। বর পক্ষও হাজির হয় কনের বাড়িতে। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে হাজির হন সেই বিয়ের আসরে। এরপর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বর ও কনের বাবার অর্থদণ্ড ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে উভয়ের মুচলেকা নিয়ে ভেঙে দেন সেই বাল্য বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাজিরপুর এলাকায়।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আতিক আলীর (২৫) সাথে একই গ্রামের মকবুল হোসেনের কিশোরী মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ে আপ্যায়নসহ নানা আয়োজন শুরু হয়। এরই মাঝে বরপক্ষও হাজির হয় বিয়ে বাড়িতে। কিশোরী মেয়ের বাল্য বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে তিনি সেখানে ভ্রামমান আদালত পরিচালনা করেন। সেখানে বর ও কনের বাবা প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এরপর উভয়ের মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা পুণরায় বাল্য বিয়ের চেষ্টা করলে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন ইউএনও।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কোন বিয়ের আয়োজন করা যাবেনা।
