কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল হওয়ায় গাইবান্ধায় জেগে বসেছে শীত। দুপুর গড়িয়ে দেখা মিলছে সূর্যের তবে নেই উত্তাপ। রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঝিরঝির করে পড়ছে ঘন কুয়াশা।
ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে জেলার রাস্তা ঘাট। দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে গাড়ি। হঠাৎ শীতের প্রকোপ বাড়ায় বিপাকে পড়েছে জেলার ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। দেখা দিয়েছে গরম কাপড়ের অভাব।
শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশী কাবু হয়ে পড়েছে জেলার ব্রক্ষপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট ও করতোয়া নদী পাড়ের ১শ ৬৫টি চরের মানুষ।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাশীঘাটের দিনমজুর জহির উদ্দিন জানান, গত কয়েকদিনের শীতে কাজে যেতে পারছেন না তিনি। পরিবারে নেই কারও গরম কাপড়।
এদিকে তীব্র শীতে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে দেখা দিয়েছে শীত জনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে প্রায় দুই শ’ শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে। শীতজনিত রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত এসব শিশু রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বেশিরভাগ শিশু জ্বর, সর্দি, কাশি, কোল্ড ডায়রিয়াসহ আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায়। সেই সাথে আছে শ্বাসকষ্ট, বমি ও পাতলা পায়খানা। জেলা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর জন্য বরাদ্দ বেডে স্থান না হওয়ায় মেঝে ও সিঁড়ির উপরে নিতে হচ্ছে চিকিৎসা।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশু, কিশোর ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. খাইরুন নাহার জানান, শীতকালীন রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ডায়রিয়াসহ শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতকালীন বিভিন্ন রোগ থেকে শিশুদের রক্ষায় মায়েদের আতঙ্কিত না হয়ে শিশুদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, বাসি ও খোলা খাবার না দেওয়া। গরম কাপড় পরিধানসহ সচেতন থাকতে হবে।
