ঢাকা
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

দেশ সেরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নেই চিকিৎসক

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২১ পিএম

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চিকিৎসক শূন্য গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা প্রসুতি ও শিশুরা। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে অনেক সময় ডেলিভারি করাচ্ছেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকারা। বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনসহ অন্যন্য সেবা। 

জানা যায়, বিনামূল্যে প্রসুতি ও শিশুদের চিকিৎসা, নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য জেলার নিম্ম আয়ের মানুষের একমাত্র ভরাস্থল সদরের গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। সর্বোচ্চ প্রসুতি সেবায় ভুমিকা রাখায় দেশ সেরা হয়ে একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি।

গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে চিকিৎসক না থাকায় মুখ থুপড়ে পড়েছে এ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির চিকিৎসা সেবা। জেলার ৭ উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্ম আয়ের মানুষ প্রতিদিন প্রসুতি সেবার জন্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আসলেও ফিরতে হচ্ছে হাতাশা নিয়ে। চিকিৎসক না থাকায় একেবারে নরমাল ডেলিভারি ছাড়া বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশনসহ অন্যন্য কার্যক্রম।

দীর্ঘ দিনেও চিকিৎসক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই চিকিৎসা কেন্দ্রে আসা জেলার নিম্ম আয়ের শতশত গর্ভবতী নারী, শিশু ও তাদের স্বজনরা। চিকিৎসক না থাকায় বাধ্য হয়ে বিভিন্ন বে-সরকারি ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে তাদের।

চিকিৎসা নিতে আসা সদরের মালিবাড়ি গ্রামের রোকেয়া বেগম জানান, ডাক্তার না থাকায় টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না, তাই এসে ঘুড়ে যেতে হচ্ছে। এলাকার অনেক গরিব মানুষ টাকার অভাবে ডাক্তারের কাছে যেতে পারছে না।

গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান, গরিব মানুষের ভরসার এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এখন হাতাশার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক লক্ষাধিক মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রুত এখানে চিকিৎসক নিয়োগ প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। জটিল প্রসূতি মায়েদের নিরাপদ চিকিৎসা সেবা ও সিজায়িান অপারেশন নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক প্রয়োজন বলে জানান দায়িত্বরতরা। এছাড়াও অন্যন্য জনবলও রয়েছে অর্ধেকের কম। বরাদ্দ না আসায় প্রায় ৬ মাসের অধিক সময় থেকে বন্ধ ওষুধ সরবারহ।

জনগণের দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে গাইবান্ধা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত দায়িত্বের চিকিৎসক দিয়ে জরুরী ক্ষেত্রে সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসক নিয়োগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।

গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৪ শতাধিক নরমাল ডেলিভারি ও শতাধিক সিজারিন অপারেশন হয়ে আসছিল। গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে চিকিৎসক শূন্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি।

MMS
আরও পড়ুন