ঢাকা
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নদীতে ছুটে চলছে স্কুলছাত্র রাহাদের ল্যাম্বরগিনি

আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম

দূর থেকে দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। নদীতে ছুটে চলছে আধুনিক মডেলের একটি প্রাইভেটকার। কেউ বলছেন সিনেমার দৃশ্যের মতো, কেউ আবার বিশ্বাসই করতে পারছেন না নদীতে চলছে গাড়ি। ফেসবুকসহ সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নদীতে প্রাইভেটকার গাড়ি ছুটে চলার দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন নদী পাড়ে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।

এটি আসলে এক অভিনব স্পিডবোট, যা বানিয়েছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদী পাড়ের বাসিন্দা দশম শ্রেণির স্কুল পড়ূয়া শিক্ষার্থী তরুণ উদ্ভাবক রাহাদ মিয়া। তার এই অদ্ভুত যান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশপাশের গ্রাম থেকে শুরু করে দূর-দূরান্তের দর্শনার্থীরা। 

স্থানীয়রা বলছেন, এমন উদ্যোগ তরুণদের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে উৎসাহ দেবে, পাশাপাশি নদী-চরাঞ্চলসহ গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত করবে এক নতুন মাত্রা।

ল্যাম্বরগিনি আকৃতির গাড়িটিতে একসঙ্গে ৫ জন বসতে পারবে। বসার জন্য রয়েছে ৫টি সিট। ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। প্রতি ঘণ্টায় লাগবে ২ লিটার জ্বালানি তেল। সাধারণ স্পিডবোটের তুলনায় একটু উঁচু হওয়ায় পানি উঠা বা ডোবার সম্ভবনা খুবই কম। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে লাইটিং সিস্টেমসহ ইমারজেন্সি সিগনাল ও উচ্চ সাউন্ডের সাইরেন। 

এ বিষয়ে তরুণ উদ্ভাবক রাহাদ মিয়া জানান, বর্ষায় চলবে নদীতে, আর ভবিষ্যতে শুকনো মৌসুমে রাস্তায় চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। এজন্য যোগ করা হবে বিশেষ চাকা ও গিয়ার সিস্টেম। তবে বর্তমানে এটি কেবল নদীতে চলাচল করছে বলে জানান তিনি।

গ্রামীণ জীবনকে বদলে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে এই তরুণ। এই ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনের পাশাপাশি তিনি তৈরি করেছেন ফায়ার ফাইটার রোবট, ওয়াল ক্লাইমবার রোবটসহ বিভিন্ন কিছু।

তরুণ উদ্ভাবক রাহাদ মিয়া ফুলছড়ি উপজেলার রতনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী গুনভড়ি স্কুলে দশম শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করছে।

NJ
আরও পড়ুন