হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবছরই দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে আসেন হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষরা। দূর থেকে কাঁটাতারের বেঁড়া ভেদ করে সীমান্তের ওপাড়ে থাকা স্বজনকে এক নজর দেখে আত্মতৃপ্তি পেতেই সীমান্তে আসেন তারা।
এবারও নবমী পূজার দিন দুপুর পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীর নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে সীমান্ত এলাকা।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় গিয়ে দেখা যায়, সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে আছেন শতশত সনাতন ধর্মাবলম্বীর নারী-পুরুষ। আর ভারত অভ্যন্তরেও দাঁড়িয়ে আছেন অনেক সনাতন ধর্মের মানুষ।
তাদের অপেক্ষা দূর থেকে স্বজনদের এক নজর দেখার। কেউ স্মৃতি ধরে রাখতে তুলছেন সেলফি, কেউ আবার সীমান্তের ওপারের মন্দির দেখার জন্য দিচ্ছেন উঁকিঝুঁকি। কেউ এসেছেন অটোরিকশা, মাইক্রোবাস মোটরসাইকেলযোগে। তাদের আগমনে বসেছে অস্থায়ী কিছু দোকানপাট।

বগুড়া থেকে আসা রানী বেগম বলেন, প্রতিবছর পূজার সময় হিলি সীমান্তে আমরা পরিবারের সাথে আসি। এবারও এসেছি। এখানে আসলে আমরা ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করতে পারি না। কিন্তু দূর থেকে ইশারায় যতটুকু কথা হওয়ার সেটাই হয়। তবে যদি সরকারের পক্ষ থেকে পূজার সময়গুলোতে দেখা করার সুযোগ করে দিত, তাহলে আমাদের অনেক ভালো হত।
পাঁচবিবি থেকে আসা শ্রী রনজু বলেন, আজ নবমী পূজা চলছে পরিবার নিয়ে ঘুরাঘুরি করছি। তাই সীমান্তে আসছি পরিবার নিয়ে দেখতে।এপাড় থেকে ভারতে পূজামণ্ডপ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু যেতে পারছি না। তারপরও শান্তি দূর থেকে পূজার অনুভূতি নিতে পারছি।
নওগাঁ থেকে মিনা রানী বলেন, স্বামীর সাথে মোটরসাইকেলযোগে সীমান্তে এসেছি ভারতে স্বজন আছে, তাদের সাথে দেখা করতে। কিন্তু এসে শুনি এখানে দেখার করার সুযোগ নেই। পাসপোর্ট ও ভিসা থাকলে যেতে পারবে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ উৎসবগুলোতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও দেখা করার সুযোগ দেওয়া উচিত।
