কুড়িগ্রাম গেল ৩ দিন ঘন কুয়াশা থাকলেও আজ কিছুটা কমেছে। তবে কুয়াশা কম থাকলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল অব্দি অনুভূত হচ্ছে প্রচন্ড ঠান্ডা। এদিকে সন্ধ্যার পর হতে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত শীতের তিব্রতা থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে দরিদ্র, দিনমুজুর ও ছিন্নমুল মানুষ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেইসঙ্গে ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে এই জেলায়।
নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের চর বিষ্ণুপুর এলাকার দিনমুজুর ফজর আলী জানান, তিন চারদিন থেকে ঠান্ডা বেশী পড়ায় সকালে কাজে যেতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। বেলা করে তাদের কাজে যেতে হয়।
বাহের কেদার এলাকার ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন জানান, সকালে ভ্যান নিয়ে বেরে হলে হাত পা ঠান্ডায় জমে আসে। অনেক সময় কুয়াশার জন্য কিছু দেখা যায় না। তাই বেলা বাড়লে কাজে যেতে হচ্ছে ফলে আগে তুলনায় আয় কমেছে তাদের।
অটোরিকশা চালক রুবেল মিয়া বলেন, শীত বেশী পড়ায় যাত্রী কমে গেছে। তাই আয় কম হয়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন বলেন, ৯টি উপজেলাতে ৬ লাখ করে মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কম্বল ক্রয় করা হচ্ছে। তা তালিকা করে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দিনদিন কুয়াশা আর ঠান্ডা দুটোই বাড়বে এ জেলায়।
