আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যেসব কর্মী ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন বা নতুন কর্মী, তাদের গণহারে বিচার করা হবে না। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দফতরের এক ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের সদস্যদের কী হবে। তারা কি ফৌজদারি আইনে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে?সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই দলের অধীনে তারা রাজনীতি করতে পারবে না। তারা যদি বাংলাদেশের কোনো আইনে অপরাধ করে থাকে, অবশ্যই তাদের বিচার হবে। কিন্তু এটা যদি বলেন, গণহারে জামায়াতের যারা নতুন কর্মী বা ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন তাদের বিচার করা হবে। এমন গণহারে বিচার করা হবে না। তাদের সম্পদের কী হবে? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেগুলোরও ব্যবস্থা হবে। এটা আইনে আছে, এটাই সঠিক।
জামায়াত আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে কি না? জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। আন্ডারগ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে, তাদের কী হয়েছে। আপনারা নকশাল বাড়ির ইতিহাস জানেন। অনেক দল যেতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ডে। কিন্তু আমি বলেছি, সেটিকে মোকাবিলার প্রস্তুতি আমাদের আছে।
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একটা কথা উঠেছে গণহারে গ্রেপ্তার। বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু প্রসিকিউশন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। আমরা প্রসিকিউশনকে নির্দেশনা দিয়েছি প্রতিটি ফরোয়ার্ডিং দেখে, যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী অথবা যারা মাইনর, তাদের জামির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। প্রসিকিউশন উদ্যোগী হয়ে তাদের জামিনের ব্যবস্থা করবে। তিনি বলেন, আমি আরেকটা কথা বলতে চাই। বাংলাদেশে আইন আছে, যারা অপরাধ করেছে। তারা আইনের আওতায় আসবে।
