ঢাকা
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ে শিশির মনিরের প্রতিক্রিয়া

আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম

মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৭ মে) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ  ট্রাইব্যুনাল এ ঘোষণা করেন। এতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. শিশির মনির। এ সময় রায়ে বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

তারা হলেন- হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, দুই ছেলে সজিব শেখ ও রাতুল শেখ।

আলোচিত এ রায় ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাড. শিশির মনির বলেন, শিশুটির ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দ্রুত রায় বিচার বিভাগের একটি বড় সাফল্য।

এদিকে, এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিশুটির মা ও মামলার বাদী। তিনি বলেন, হিটু শেখের ফাঁসির আদেশ হলেও অন্য তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ রায় আমরা মেনে নিতে পারছি না। 

তিনি আরো বলেন, এই মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটিতে সাতটি জব্দ তালিকা ছিল। এই সাতটি জব্দ তালিকায় ১৬ জন সাক্ষী ছিল। যার মধ্যে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণসহ সাক্ষ্য দিয়ে তাদের জব্দ তালিকাকে সত্যায়ন করেছেন। জব্দ করা আলামতকে আদালতে সত্যায়ন করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী জানান, এই মামলায় তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট ছিল। পাঁচ ডাক্তার মেডিকেল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেছিলেন। তারা ইতোমধ্যে আদালতে সাক্ষী দিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেটকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছেন এবং মেডিকেল সার্টিফিকেটে তারা তাদের স্বাক্ষর শনাক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, সর্বোপরি এ মামলায় ২৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়ে আদালতে আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধিত আইন ২০০৩ এর ৯ এর দুই ধারাকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম হয়েছেন।

গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের সই শিশুটি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

ঘটনার পর দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। স্থানীয় আইনজীবীরাও অভিযুক্তদের জন্য কোনো ধরনের আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

RF
আরও পড়ুন