ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় আটক ৪ প্রবাসীর চারদিনের রিমান্ড 

আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক চারজনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমানবন্দর থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এন্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে গত ৫ জুলাই এ মামলা করেন।

তারা হলেন- প্রবাসী নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, জাহেদ আহমেদ ও মাহফুজ।

জানা যায়, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক কে এম তারিকুল ইসলাম তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে এমদাদুল হকসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩ জুলাই তিন আসামি নজরুল ইসলাম সোহাগ, মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং জাহেদ আহমেদকে মালয়েশিয়ান পুলিশ দেশে ফের‍ত পাঠায়। ৪ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছান তারা। এ সময় পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিট তাদের হেফাজতে নেয়। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তারা মলয়েশিয়ায় অবস্থান করা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা মালয়েশিয়ার আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি কতিপয় নাগরিকদের পরিচালিত সামাজিক যোগাযোগ মাধামে সদস্য সংগ্রহ এবং প্রচার-প্ররোচণা চালিয়ে আসছিল। আসামিরা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে সে দেশের জননিরাপত্তা, জনসাধারণের আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

পরে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ান পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আসামিরা সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হয়ে আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী স্বেচ্ছায় দেওয়া অনুদানের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করেন। পরে সংগৃহীত অর্থ ই-ওয়ালেট এবং আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর পরিষেবার মাধ্যমে অন্যান্য দেশে অর্থ প্রেরণ করে। সংগঠনটির সদস্য হিসেবে বছরে ৫০০ রিঙ্গিত চাঁদা দিতো।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার আসামিদের মালয়েশিয়ান পুলিশ পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, আসামিরা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে এসে সন্ত্রাসবাদে জড়িত হয়ে উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জননিরাপত্তা, জনসাধারণের কোনো অংশে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করলে যে কোনো সময় বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।

MMS
আরও পড়ুন