ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পুষ্পধারার ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে জনসংযোগ কর্মকর্তার লিগ্যাল নোটিশ

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম

রাজধানীর মালিবাগস্থ পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবীর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে পুষ্পধারার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির), ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলীনূর ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিককে বিবাদী করা হয়েছে। এতে নোটিশদাতার বকেয়া বেতনসহ পাওনাদি পরিশোধের জন্য ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আলমগীর কবীরের পক্ষে নোটিশ পাঠিয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. আরিফুল ইসলাম। 

নোটিশে বলা হয়েছে, আলমগীর কবীর ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেডে খণ্ডকালীন জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। শুরুতে তার মাসিক সম্মানী ছিল ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল বিল ৫০০ টাকাসহ ১০ হাজার ৫০০ টাকা। তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরের পর থেকে তার বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। সেই থেকে নানা অজুহাতে বেতন দিতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা শুরু করে। একাধিকবার চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে চাইলেও কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির), ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলীনূর ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক মৌখিকভাবে তাকে ইস্তফা না দিতে অনুরোধ করেন এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেন।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন বেতন অনাদায়ে থেকেও আলমগীর কবীর পেশাগত দায়িত্ব পালন চলমান রাখেন। পরবর্তী সময়ে ২০২৪ সালে কয়েক দফায় তাকে মোট ৯৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি তার মাসিক সম্মানী দ্বিগুণ করে ২১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেওে আগের পাওনা ও সুবিধাদি বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। নোটিশে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আলমগীর কবীরের মোট ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছেন। এর মধ্যে পরিশোধিত ৯৫ হাজার টাকা বাদ দিলে এখনো ৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। 

নোটিশে বলা হয়, পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে শ্রম আইন, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী আদালতে মামলা করা হবে । একইসঙ্গে মামলার সমস্ত ব্যয়ভার কোম্পানিকে বহন করতে হবে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে পুষ্পধারা প্রপার্টিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির) লিগ্যাল নোটিশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি নিজে মো. আলমগীর কবীরকে চাকরি দিয়েছিলাম। আমাদের নিজেদের মধ্যে একটি ভুল ভোঝাবুঝি হওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা নিজেদের মধ্যে সমাধান করেছি।’ 

তবে নোটিশদাতার মো. আলমগীর কবীর বলেন, ‘কোনো সমাধান হয়নি। এটি ভুল বোঝাবুঝির বিষয়  নয়। আমি তাদের কাছে বেতনের টাকা পাই। টানা ৮ মাস মৌখিকভাবে আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।  কিন্তু বেতনাদি পরিশোধ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’

FJ
আরও পড়ুন