এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সাংবাদিকতা-আইন পেশায় যুক্ত হতে পারবেন না।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫’ প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক-কর্মচারী একই সাথে একাধিক কোনো পদে/চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। এটি তদন্তে প্রমাণিত হলে সরকার তার এমপিও বাতিলসহ দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
আর্থিক লাভজনক পদ বলতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনো ধরনের বেতন-ভাতা-সম্মানী এবং বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থায়, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা ও আইন পেশায় কর্মের বিনিময়ে বেতন-ভাতা-সম্মানীকে বুঝাবে বলে নীতিমালায় বলা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে সাংবাদিকতাকে আলাদা করে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। সরকারি চাকরিজীবীর মতোই এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরাও সরকারি অর্থ পান। তাদের বেতন, বাড়িভাড়া ভাতা, ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন সুবিধা সরকার দেয়।
তিনি আরও বলেন, সেজন্যই আর্থিক লাভজনক পেশায় জড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কেউ নীতিমালা লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন এই নীতিমালা কার্যকর হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এখন থেকে শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা, ওকালতি বা যেকোনো আর্থিক লাভজনক পেশায় যুক্ত থাকতে পারবেন না।
প্রজ্ঞাপন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
