ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ডিজিটাল ক্লাস হবে: উপদেষ্টা

‘সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা এসব ভাষা জানেন, তাদের দিয়ে সুন্দর সুন্দর লেকচার তৈরি করছি। যা দেখে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে এবং শিক্ষকরাও দেখে দেখে শিখতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারবে।’

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১০ পিএম

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

তিনি বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা এসব ভাষা জানেন, তাদের দিয়ে সুন্দর সুন্দর লেকচার তৈরি করছি। যা দেখে শিক্ষার্থীরা শিখতে পারবে এবং শিক্ষকরাও দেখে দেখে শিখতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারবে। এটি হলে কিছুটা সমস্যার সমাধান হবে, বইগুলো বেকার পড়ে থাকবে না।’

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে জেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপদেষ্টা এই মতবিনিময় করেন৷ জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

এসময় ডা. বিধান রঞ্জন আরও বলেন, ‘আমাদের একটি বড় সমস্যা নির্দিষ্ট ভাষার শিক্ষক নিয়োগ করা। আমাদের যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যে কাঠামো রয়েছে, তাতে আমরা দেখি ওই ভাষার শিক্ষক টিকলো না। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োগ প্রক্রিয়া তাদের নিজস্ব। ফলে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। শিক্ষকেরও সংকট আছে, খুঁজে পাওয়াও কঠিন৷ আমরা আশু সমাধানের জন্য যা করব তা হল, সমস্যা সমাধানের জন্য ডিজিটাল ক্লাসের ব্যবস্থা করছি।’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের দাবি ও আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা একটি সুচিন্তিত মতামত দেয়ার জন্য পরামর্শক কমিটি তৈরি করেছিলাম। সেখানে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ এবং প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যবস্থাপকদের যুক্ত করা হয়েছিল। তারা দীর্ঘ তিন মাস বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন গ্রুপের দাবির বিষয়গুলো শুনেছেন। এরপর আমাদের সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়েছেন। তারা পরামর্শ দিয়েছে, প্রাথমিকে শিক্ষকরা ঢুকবে ১৩তম বা ১২তম গ্রেডে, এরপর প্রশিক্ষণ নিবেন এবং তাদের চাকরি স্থায়ী হবে দুই বছরে। চাকরি করার পর সবমিলিয়ে ৪ বছর পর তাদের পদোন্নতি হবে। পদোন্নতি পেয়ে জ্যৈষ্ঠ বা সিনিয়র শিক্ষক হবেন, এটি ১১ গ্রেড হবে।’

উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘যখন ১১তম গ্রেড হবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ সহকারী প্রধান শিক্ষক হবেন এবং তখন তারা আলাদা বাড়তি একটা ভাতা পাবেন। এখন যারা প্রধান শিক্ষক হন, তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতি ও ৩৫ সরাসরি নিয়োগ হন। তারা এই পদ্ধতিকে বাতিল করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ১০০ ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে করার সুপারিশ করেছে পরামর্শক কমিটি৷ তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকবে, প্রধান শিক্ষক হতে নূন্যতম কি যোগ্যতা প্রয়োজন। সহকারী প্রধান শিক্ষক বা সিনিয়র শিক্ষকদের যেকেউ প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন। তখন তাদের গ্রেড হবে ১০ম। আবার প্রধান শিক্ষকদেরও পদোন্নতির ব্যবস্থা থাকবে। তারা এটিও হতে পারবেন। এসব প্রস্তাবকে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। এমনকি শিক্ষকদেরও বেশিরভাগই এটিকে গ্রহণ করেছে। এটি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।’

তিনি বলেন, ‘দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। কারণ আমরা তাদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে পারছি না। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি তাদেরকে অন্যান্য কার্যক্রম যেমন খেলাধুলা, নাচ, গান, ছবি আঁকানোয় আরও বেশি আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও শিক্ষকদের আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।’


সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাকিব হাসান তরফদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জেহের আলী, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের জেলা-উপজেলা কার্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।

Fj
আরও পড়ুন