ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বেরোবি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তার বাজে মন্তব্য নিয়ে তোলপাড়

‘এই বাটপারকে ইদানীং রিসার্চার/গবেষক হিসেবে ‘সট’ দিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে’ এমন মন্তব্যও উঠে এসেছে। 

আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৯ এএম

বেরোবির শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা রোকনুজ্জামানে বাজে মন্তব্যের ভিডিওকে ঘিরে স্যোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়মিত অফিস করার অভিযোগ পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা তা সরেজমিনে দেখতে যান। আর তখনি বিপত্তি ঘটে। 

ঘটনার বর্ণনায় জানা গেছে, গত ২ মার্চ অফিস শুরুর পর সকাল সাড়ে ৯টায় ও বিকেল ৩টায় একজন কর্মকর্তা ছাড়া বাকি কাউকে অফিসে পাওয়া যায়নি। পরের দিন ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় নামমাত্র কয়েকজনকে উপস্থিত পাওয়া গেলে তারা সাংবাদিকদের দেখে চড়াও হয়ে সবাই একত্রিত হয়ে তেড়ে আসেন।

এ সময় কর্মকর্তাদের মধ্যে রোকনুজ্জামান রোকন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মোর ঘুরিয়ে বলেন, শিক্ষকরা ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ হাজার টাকা করে নেয়, কর্মকর্তাদের চার/পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়, প্রতিবেদন কর। ডিপার্টমেন্টে যাও, কোন শিক্ষক কয়টার দিকে আসে, দশটার সময় আসে, এইগুলার প্রতিবেদন কর। ছয় মাসের ক্লাশ দুই দিনে শেষ করে দিবে এটা হবে না, কোন শিক্ষক পরীক্ষা না নিয়ে নম্বর দিছে। ঐগুলা রিপোর্ট তো তোমরা করতে পারবা না, নম্বরের ভয় আছে, ফেল করায় দেবে তাই।

এ সময় সাংবাদিক সমিতির এক সদস্য তার এই আক্রমণাত্মক বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করে সাংবাদিক সমিতির পেজে প্রকাশ করলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠে।

ছবি: খবর সংযোগ

ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ সহযোগী অধ্যাপক জাকিউর রহমান তার ফেসবুক ওয়ালে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লিখেন, ২০২৩-২৪ জিএসটি পারিতোষিক সংক্রান্ত থলের বিড়াল অবশেষে বাইরে আসলো! মাসে মাসে শিক্ষক সমিতির চাঁদা কী এসব তামাশা দেখার জন্য দিচ্ছি!! ডিয়ার ফ্যালাস, ‘দেখেন আপনারা যেটা ভাল মনে করেন’।

পরিসংখ্যান বিভাগের সরকারি অধ্যাপক বিপুল হোসেন তার ফেসবুক ওয়ালে ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে লিখেন, একজন কর্মকর্তার এরকম ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়! সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শিক্ষার্থী ইমরানুল হাসান ইমন মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ভিডিওর লোকটাকে বিচারের আওতায় আনা হোক। আরেক  শিক্ষার্থী রিপন আহমেদ লিখেন, কথা বার্তার টোন দেখে তো মনে হয় চোর বাটপার এরা। জিজ্ঞেস করলে দুর্নীতিবাজদের গায়ে লাগে।

ছবি: খবর সংযোগ

‘এই বাটপারকে ইদানীং রিসার্চার/গবেষক হিসেবে ‘সট’ দিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে’ এমন মন্তব্যও উঠে এসেছে। 

অভিযুক্ত ড.ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইন্সিটিউটের রিসার্চ অফিসার ড. রোকনুজ্জামান রোকন গবেষণার চেয়ে রাজনীতিতে বেশি সক্রিয়। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে হয়েছেন জিয়া পরিষদ রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক।

RA/AHA
আরও পড়ুন