ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

অভিষেক না হওয়ায় গকসু কার্যক্রম স্থবির 

আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৯ এএম

দীর্ঘ ৭ বছর পর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিক অভিষেক ও দায়িত্ব গ্রহণ না হওয়ায় নির্বাচিতরা এখনও কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি। ফলে শিক্ষার্থীদের একমাত্র কৌতূহল— কবে অনুষ্ঠিত হবে অভিষেক অনুষ্ঠান?

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্গাপূজা-পরবর্তী সময়েই শপথ ও অভিষেক অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনো কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। এতে নির্বাচনের পর তৈরি হওয়া উৎসবমুখর পরিবেশ ধীরে ধীরে অপেক্ষার আবহে পরিণত হয়েছে।

২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে। সাত বছরের বিরতি শেষে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোট দিয়ে তাদের নেতৃত্ব বেছে নেন। ভোটের আগে প্রার্থীদের প্রচারণা এবং ভোটের দিন ক্যাম্পাসজুড়ে উচ্ছ্বাস শিক্ষার্থীদের এক বিশেষ অভিজ্ঞতা এনে দেয়।

ভোট শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলেও আনুষ্ঠানিক অভিষেক ছাড়াই এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি তারা।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার জানান, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচিত সদস্যরা এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এই বিলম্বের সুযোগে কিছু মহল নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সফল করতে এবং অপপ্রচার রোধে নির্বাচিত সদস্যদের দ্রুত শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা জরুরি। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারেন।’

সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান বলেন, ‘নির্বাচনের পরের দিনটি ছুটির দিন ছিল এবং দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি তিনি জানিয়েছেন পূজার ছুটির পর যত দ্রুত সম্ভব অভিষেক ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেছেন, ‘ছুটি শেষে শপথগ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এখন অব্দি কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।’

প্রসঙ্গত, গকসু নির্বাচন প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে। সর্বশেষ চতুর্থ নির্বাচনে সম্পাদকীয় ও অনুষদ প্রতিনিধি মিলিয়ে ১২টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৫৮ জন প্রার্থী। ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন।

HN
আরও পড়ুন